অতুলনীয় ভাগাতোর ( VAGATOR the most photographed beach of Goa )
![]() |
| ভাগাতোর সৈকত |
পূর্বে সহ্যাদ্রী পাহাড়, পশ্চিমে অনন্ত নীল জলরাশি নিয়ে আরব সাগর আর তার ঠিক মধ্যেখানে সোনালী বালুকাময় দীর্ঘ তটরেখা। এই বৈচিত্রের টানেই পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অসংখ্য পর্যটক গোয়াতে আসেন। গোয়ার সৈকতগুলি বৈচিত্রের দিক থেকে একেকটা একেকরকম। সাধারনত গোয়ার সৈকতগুলি উত্তর গোয়া ও দক্ষিন গোয়া ভাগ করে প্যাকেজ ট্যুরে দেখানো হয়ে থাকে।
উত্তর গোয়ার সৈকতগুলির মধ্যে অন্যতম সুন্দর হল ভাগাতোর – ঠিক যেন পটে আঁকা ছবি। এর উত্তরে মোরজিম সৈকত ও দক্ষিনে অঞ্জুনা সৈকত। গোয়ার রাজধানী পানাজী থেকে ২২ কিমি ও মপুসা থেকে ৯ কিমি দূরে এই ভাগাতোর সৈকত। শুধুমাত্র এই ভাগাতোরের টানেই গোয়া ভ্রমণ করা যেতে পারে। পাহাড় ঘেরা এই সৈকত।
![]() |
| এই সিঁড়ি দিয়েই পাহাড় থেকে ভাগাতোর সৈকতে নেমে আসা যায় |
গাড়ি আমাদের যেখানে নামিয়ে দিল, সেখান থেকে বুঝতে পারা খুব কঠিন যে এইখানে একটি সমুদ্র সৈকত আছে। আমরা খানিকটা এগিয়ে আসতেই দেখি পাহাড় ধীরে ধীরে ঢালু হয়ে সমুদ্রের দিকে বেলাভূমিতে মিশেছে। সেই ঢালে কিছু নারকেল গাছ। পাহাড়ের উপর থেকে সিঁড়ি এঁকে বেঁকে নেমে এসে বেলাভূমিতে মিশেছে। চোখের সামনে বিশাল নীল জলরাশি দূরে আকাশের নীল সীমানায় মিশে গিয়েছে। স্থলভাগের দিকে সাদা ফেনার ছোট ছোট ঢেউ। সিঁড়ির উপর থেকে হঠাৎ করে এই চোখজুড়ানো দৃশ্য দেখে ছবি না তুলে থাকা যায় না। তবে এটাও ঠিক যে ক্যামেরাতে ছবি তুলে এর রূপ কাউকে বোঝানো যাবে না। আমরা ধীরে ধীরে নেমে এলাম বেলাভূমিতে । তখন এর রূপ আবার এক্কেবারে অন্যরকম। সমগ্র সৈকতই ছোট বড় পাথরে ভরা, এমন কি সমুদ্রের তলাতেও পাথরের আধিক্য। সমুদ্রের অশান্ত ঢেউ এখানে পাথরে এসে ধাক্কা খাচ্ছে অবিরাম। নীল সমুদ্রের ঢেউ পাথরে ধাক্কা খেয়ে দুধ সাদা ফেনাতে পরিনত হচ্ছে । আর বিরামহীনভাব যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের সৃষ্টি করে চলেছে তা দেখতে দেখতেই সময় কেটে যায়।
![]() |
| সিঁড়ি দিয়ে নেমে আসার সময় এই দৃশ্য চোখে আসে |
তবে পাথরের আধিক্য থাকায় এই খানে স্নান করা মানা। করলেও ভীষণ সতর্কতা নেওয়া দরকার। এত কি চিন্তা করছেন , চলেই আসুন না এই শীতে গোয়াতে।
![]() |
| উপর থেকে এমন দেখায় ভাগাতোর সৈকতকে |
আরো জানার জন্য এখানে ক্লিক করুন




মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন