পোস্টগুলি

2020 থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

হারিয়ে যাওয়া পুজোরগান ( SONGS FOR DURGAPUJA ,SHARODIYA )

ছবি
                                                                      শরতকালের আগমনটা সত্যিই অন্যরকম । প্রকৃতি যেন নিজেকে সাজিয়ে জানান দেয় “ আমি চলে এসেছি ” । বর্ষায় মুখ গম্ভীর করে কালো মেঘে ঢেকে থাকা আকাশ হঠাৎ নীল হয়ে গিয়ে আমাদের মন ভাল করে দেয় । আকাশে ভেসে চলা পাতলা সাদা মেঘের নৌকা যেন আগমনীর বার্তা বয়ে বেড়ায় । আধুনিকতার মোড়ক সরিয়ে সাদা কাশ ফুলের দোলা আমাদের মনে আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে । সকাল বেলায় গাছের নীচে পড়ে থাকা শিউলি ফুল ও রাতে জমে থাকা শিশির মনে করিয়ে দেয় – মা আসছেন ।                                      আসলে শরতের রূপ প্রথমেই আমাদের আসন্ন দুর্গাপুজোর কথা মনে করিয়ে দেয় । তবে প্রকৃতির সাজানো এই রূপের পাশাপাশি শরতকালের আরো কয়েকটা   ঘটনা আমাদের জীবনে এমনভাবে জড়িয়ে আছে যে যাদেরকে ছাড়া দুর্গাপুজোর আনন্দের রং আনেকটাই ফিকে হয়ে যায়। আসলে দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে আমাদের যে শারদ উৎসব তা এমনই যে কোনো কিছুর সাথে ‘পুজো’ বা ‘শারদ’ শব্দটি যুক্ত থাকলেই তা আলাদা মাত্রা পায়। যেমন সারা বছর যত ভাল জামাকাপড়ই কেনা হোক না কেন -   পুজোর জামা, পুজোর শাড়ী হলেই তার আনন্দ ও গুরুত্ব বেড়ে

হারিয়ে যাওয়া মেস জীবনের মজা ও আনন্দ

                                                     চাকরী পাওয়ার পরে প্রথমবার মেসে থাকা। ছাত্রজীবনে হোষ্টেলে প্রায় পাঁচ বছর কাটালেও সেটার সাথে মেস জীবনের এতটা পার্থক্য আছে , সেটা আগে বুঝিনি। বর্তমানে সেই আদর্শ মেসের অস্তিত্ব প্রায় নেই বললেই চলে। সময়ের সাথে পরিবর্তনের নিয়মে ধীরে ধীরে মেসের জায়গা নিয়ে নিচ্ছে “পেয়িং গেষ্ট”। আমাদের বাংলা সিনেমার ইতিহাসে দেখা যায় , একটা সময় গেছে যখন “সাড়ে চুয়াত্তর” , “বসন্ত বিলাপ” এর মতো   বহু বাংলা সিনেমা মেস জীবনকে কেন্দ্র করেই তৈরী হয়েছিল।                             আসলে স্বাধীনতার সময় থেকেই রাজধানী কলকাতায় থাকবার প্রয়োজন বাড়তে থাকে সাধারন মানুষের। তখন সাধারন মানুষের হাতে পয়সা কড়িও খুব একটা ছিল না, সেই সঙ্গে কলকাতার বুকে থাকবার মতো অসংখ্য লজ, হোটেলও গড়ে ওঠেনি। তখন থাকবার একমাত্র ভরসা ছিল মেসরূপী বোর্ডিং হাউস। পুরনো কলকাতার বুকে বিশেষ করে উত্তর ও মধ্য কলকাতায় ব্রিটিশ আমলে তৈরী হওয়া বাড়ীগুলোতেই গড়ে উঠল সস্তায় থাকা খাওয়ার জন্য বোর্ডিং হাউস। তখনকার কলকাতায় আমহার্ষ্ট স্ট্রীট, মুক্তারামবাবু স্ট্রীট, সীতারাম ঘোষ স্ট্রীট, কলুটোলা স্ট্রীট – এইসব জায়গায় রাস্

আড্ডার একাল সেকাল

                                          এমন কোন বাঙালী নেই যিনি মান্না দে-র গাওয়া সেই চিরনতুন গান         ‘ কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই......’ , শোনেন নি। জনপ্রিয় সেই গানের মধ্যে দিয়ে ‘ কফি হাউসের সেই আড্ডাটা’ না থাকার আক্ষেপ ও যন্ত্রনা যেভাবে প্রকাশ পেয়েছে তা আজও আমাদের মনকে নাড়া দিয়ে যায়। সেটা হয়েছিল তার   কাছের বন্ধুদের অনুপস্থিতির কারণে। আসলে মনের মতো বন্ধু না থাকলে যেন আড্ডা জমতে চায় না। আজকের দিনে বসে গানটা শুনতে শুনতে আমরাও   নিজেদের হারিয়ে যাওয়া আড্ডাকে খুঁজতে শুরু করি। যদিও বাঙালীর নিজস্ব ঢং এর আড্ডাটাতে সেই সময়তেও   পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগতে শুরু করেনি। এরপর সময়ের সাথে সাথে আধুনিকতার চাদরে মুড়ে গিয়েছে গোটা   সমাজ। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বদলে গিয়েছে আমাদের জীবনযাত্রা। শেষ দশকে টেলি কমিউনিকেশন-এর অভাবনীয়   উন্নতিতে আমরা সবাই হঠাৎ করে নিজেদের পালটে ফেলেছি। সময় এখন সবচেয়ে দামী। সবাই ব্যস্ত, ছুটছে সবাই।   তাই আড্ডা   মারবে কখন ? সময়-ই তো নেই।   কি ভাবছেন , আড্ডা মারা তাহলে একদম ই কমে গেছে তাই না ? কাউকে তো দেখাই যায় না রায়বাবুদের রকে, সাহাদের বারান্দায়। না, আপনার ভাবনাটা ভু