পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

হারিয়ে যাওয়া মেস জীবনের মজা ও আনন্দ

                                                     চাকরী পাওয়ার পরে প্রথমবার মেসে থাকা। ছাত্রজীবনে হোষ্টেলে প্রায় পাঁচ বছর কাটালেও সেটার সাথে মেস জীবনের এতটা পার্থক্য আছে , সেটা আগে বুঝিনি। বর্তমানে সেই আদর্শ মেসের অস্তিত্ব প্রায় নেই বললেই চলে। সময়ের সাথে পরিবর্তনের নিয়মে ধীরে ধীরে মেসের জায়গা নিয়ে নিচ্ছে “পেয়িং গেষ্ট”। আমাদের বাংলা সিনেমার ইতিহাসে দেখা যায় , একটা সময় গেছে যখন “সাড়ে চুয়াত্তর” , “বসন্ত বিলাপ” এর মতো   বহু বাংলা সিনেমা মেস জীবনকে কেন্দ্র করেই তৈরী হয়েছিল।                             আসলে স্বাধীনতার সময় থেকেই রাজধানী কলকাতায় থাকবার প্রয়োজন বাড়তে থাকে সাধারন মানুষের। তখন সাধারন মানুষের হাতে পয়সা কড়িও খুব একটা ছিল না, সেই সঙ্গে কলকাতার বুকে থাকবার মতো অসংখ্য লজ, হোটেলও গড়ে ওঠেনি। তখন থাকবার একমাত্র ভরসা ছিল মেসরূপী বোর্ডিং হাউস। পুরনো কলকাতার বুকে বিশেষ করে উত্তর ও মধ্য কলকাতায় ব্রিটিশ আমলে তৈরী হওয়া বাড়ীগুলোতেই গড়ে উঠল সস্তায় থাকা খাওয়ার জন্য বোর্ডিং হাউস। তখনকার কলকাতায় আমহার্ষ্ট স্ট্রীট, মুক্তারামবাবু স্ট্রীট, সীতারাম ঘোষ স্ট্রীট, কলুটোলা স্ট্রীট – এইসব জায়গায় রাস্

আড্ডার একাল সেকাল

                                          এমন কোন বাঙালী নেই যিনি মান্না দে-র গাওয়া সেই চিরনতুন গান         ‘ কফি হাউসের সেই আড্ডাটা আজ আর নেই......’ , শোনেন নি। জনপ্রিয় সেই গানের মধ্যে দিয়ে ‘ কফি হাউসের সেই আড্ডাটা’ না থাকার আক্ষেপ ও যন্ত্রনা যেভাবে প্রকাশ পেয়েছে তা আজও আমাদের মনকে নাড়া দিয়ে যায়। সেটা হয়েছিল তার   কাছের বন্ধুদের অনুপস্থিতির কারণে। আসলে মনের মতো বন্ধু না থাকলে যেন আড্ডা জমতে চায় না। আজকের দিনে বসে গানটা শুনতে শুনতে আমরাও   নিজেদের হারিয়ে যাওয়া আড্ডাকে খুঁজতে শুরু করি। যদিও বাঙালীর নিজস্ব ঢং এর আড্ডাটাতে সেই সময়তেও   পরিবর্তনের ছোঁয়া লাগতে শুরু করেনি। এরপর সময়ের সাথে সাথে আধুনিকতার চাদরে মুড়ে গিয়েছে গোটা   সমাজ। তার সাথে পাল্লা দিয়ে বদলে গিয়েছে আমাদের জীবনযাত্রা। শেষ দশকে টেলি কমিউনিকেশন-এর অভাবনীয়   উন্নতিতে আমরা সবাই হঠাৎ করে নিজেদের পালটে ফেলেছি। সময় এখন সবচেয়ে দামী। সবাই ব্যস্ত, ছুটছে সবাই।   তাই আড্ডা   মারবে কখন ? সময়-ই তো নেই।   কি ভাবছেন , আড্ডা মারা তাহলে একদম ই কমে গেছে তাই না ? কাউকে তো দেখাই যায় না রায়বাবুদের রকে, সাহাদের বারান্দায়। না, আপনার ভাবনাটা ভু

ভাগ্য বড় না নিজের চেষ্টা বড় এই নিয়ে তর্ক হয়েই থাকে ............বাস্তব জীবনে নিজের অভিজ্ঞতা

                                                                                                             অফিস ছুটির পরে বাস স্ট্যান্ডে   আমাকে প্রেমাশীষদা বলল- “ অমিত , দত্তদাকে তিনটে চা , তিনটে ওমলেট বল। এখনো বাস আসতে দেরী আছে, সিউড়ি যখন পৌঁছবি তখন খিদে পেয়ে যাবে”। আমি কিছু বলার আগেই দত্তটা বলে উঠল- “ বসুন দাদা, আজ আপনাদের মালদাতেই যেতে হবে , তার আগে বাস নেই”। কিছুক্ষনের মধ্যেই আমাদের হাতে ওমলেট আর   কাচের গ্লাসে চা চলে এলো। দত্তদার সাথে আমাদের সম্পর্ক এইরকমই   ছিল।                                                                            সালটা ১৯৯৩ - ৯৪ হবে । নতুন চাকরী , বদলি হয়ে   সবে রামপুরহাট অফিসে এসেছি । সিউড়ির বাড়ি থেকে যাতায়াত । যেতে সময় লাগত ঘন্টা খানেক । সিউড়ি রামপুরহাট রাস্তা তখন   ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক হবার লক্ষে দিন রাত ভাঙা গড়ার খেলায় মেতেছে । তাই রাস্তার সামান্য ভাল , বেশীটাই খারাপ । কোথাও ঝাঁ চকচকে তো কোথাও কাঁচা মাটির রাস্তার অস্থায়ী বাইপাস । প্রাইভেট বাস বেশ কিছু থাকলেও সরকারী বাসের সংখ্যা হাতে গোনা । সেই সময় হাতে গোনা কয়েকটা নিত্যযাত্রী । আমি