পোস্টগুলি

ইটের সেলুন থেকে বিউটি পার্লার

ছবি
                                                                 মাথার চুল নিয়ে আমাদের মাথা ব্যাথার শেষ নেই। চুলেই নাকি আসল সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে। সেটা সেই একদম ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি। চুলকাটা খারাপ হলে সেলুনে চুলোচুলি পর্যন্ত হতে দেখা গিয়েছে। যতদিন মানুষ থাকবে ততদিন তার চুলের বাহার ঠিক রাখার জন্য সেলুনও থাকবে। সেটা ইটে বসে গাছতলাই হোক বা আধুনিকতায় মোড়া বিউটি পার্লার হোক সব সেলুনের একটাই কাজ,   আমাদের চুলের স্টাইল বজায় রাখা।                        এবার আমার নিজের ও নিজের শহরের কিছু কথা বলি। ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে প্রথমবার সেলুনে পা রাখি। তখনকার সেলুন বলতে “পটলের সেলুন” , “হাবলের সেলুন” যার আবার পোষাকি নাম ছিল “অপূর্ব সেলুন”। সেলুনে ঢুকেই একটা কাঠের চেয়ার, সামনে বড় আয়না, আয়নার সামনে একটা লম্বা কাঠের তাক, তাতে চুল কাটার যাবতীয় সরঞ্জাম – বড় কাঁচি, ছোট কাঁচি, একটা ক্ষুর, আর একটা চুল একদম কদম ফুলের মতো ছোট করার যন্ত্র , পাউডারের কোট । দেওয়ালের কোনের দিকে থাকত একটা লম্বা চামড়ার বেল্ট। সেটাতে ক্ষুরটাকে ঘষে পালিশ করে ধার বাড়ানো হতো। আর সেলুনের সবচেয়ে আকর্ষনীয় ছিল মোটামুটি খান আটেক ক্যাল

স্মার্ট ফেরিওয়ালা

ছবি
                                                                        গত দশ বারো বছরে কেনা বেচার পদ্ধতিতে এক বিরাট পরিবর্তন হয়ে গেছে। তার আদব কায়দা শিখতেও আমাদের কয়েক বছর লেগে গেল। ভুলতে হলো কিছু বাংলা শব্দ, শিখতে হল কিছু বাংলা, সাথে কিছু ইংরাজী শব্দের নতুনরূপে ব্যবহার। ঠিক বোঝা গেল না তাই তো ? তাহলে পিছিয়ে যাই পঁচিশ, ত্রিশ বছর। আমরা যখন স্কুল পড়ুয়া ছিলাম তখন “ফেরিওয়ালা” শব্দটার সাথে খুব পরিচিত ছিলাম, যেটার আর সেই অর্থে ব্যবহার নেই। আমাদের মফস্বল শহরে তখন   হাতে গোনা কিছু ভাল দোকান ছিল, বাকিটা ছিল ফেরিওয়ালা নির্ভর। ফেরিওয়ালাদের কাজ ছিল তারা তাদের পসরা সাজিয়ে সেটা বাড়ি বাড়ি বিক্রী করতে যেতেন। মনে পরে তাদের সুরেলা ডাক, যার অভাব এখন অনুভব করি। এক শাড়ি বিক্রেতা আসতেন তার নিজস্ব ভঙ্গিমাতে ডাক দিয়ে ... “ইগারো হাত ছাপা শাড়ি সাড়ে বারো টাকা”। মা, কাকিমা ও আশেপাশের সবাই তার খদ্দের ছিলেন। পল্ট্রির ডিমের কথা আমরা তখন শুনিনি, কাজেই   মাথায় করে ডিম নিয়ে ফেরি করতেন যারা, তাদের ডাক ছিল “ডিম, ডিইইইম”। তাদের কাছে আলাদা করে জানতে হত না দেশী মুরগী বা হাঁসের ডিম আছে কিনা। আবার শীতকালে উত্তুরে হাওয়া

আনন্দ দিতে বিঘ্ন ঘটায় দুঃখিত - The enjoyment of watching TV in 80s'

ছবি
  কাকিমা , আপনাদের বাড়িতে কাল সন্ধ্যেবেলায় সিনেমা দেখতে আসব। বর্তমান সময়ে যখন নিজের হাতের মুঠোয় থাকা স্মার্ট ফোনে সবাই সিনেমা , খেলা , টিভি সিরিয়াল দেখছে তখন এই ধরনের অনুরোধের   কথা শুনলে বেশ কানে লাগে। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন আমরা সবাই এভাবেই একে অন্যের বাড়িতে গিয়ে সিনেমা , খেলা দেখেছি। আমরা যারা মফস্বল শহরে বড় হয়েছি তাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একশ ভাগ সত্যি। আমাদের শহরে সাকুল্যে দুটো সিনেমা হল ছিল। তাতে নতুন সিনেমা আসতে আসতে বছর ঘুরে যেত। আর সিনেমা দেখার দ্বিতীয় কোন উপায় ছিল না। সেই সময় হলে গিয়ে সিনেমা দেখা আমাদের অন্যতম বিনোদন ছিল।                                           সালটা ১৯৮৩ - ৮৪ হবে। সেই সময় কলকাতার পরে আমাদের শহরেও এলো টেলিভিশন।   যদিও তখন খুব কম মানুষের বাড়িতেই টিভি ছিল । ধীরে ধীরে আমাদের শহরে টিভির সংখ্যা বাড়তে লাগল। আমাদের বাড়িতেও এল টিভি।   তখন লম্বাটে চেহাড়ার দুদিকে শাটার দেওয়া বেশ বড় দেখতে টেলিভিশন , সাদাকালো ছবি দেখতে পাওয়া যেত । তখন কত রকমের কোম্পানি - টেলেরামা , ওয়েষ্টান , অস্কার , বেলটেক , ওয়েবেল , নেলকো , স্যালোরা , সোনোডাইন , অনিডা ইত্যাদি। যেদিন ট