পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শুভবিজয়াঃ চিঠি থেকে টেলি চিঠি

ছবি
  মায়ের এবার ফেরার পালা। সকলকে শুভ বিজয়ার প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাই। মহালয়াতে যেমন রেডিওর কথা  খুব মনে পড়ে, তেমনি  শুভ বিজয়া জানাতে গিয়ে  আজ খুব মনে পড়ছে পোষ্টকার্ড, ইনল্যান্ড লেটার, খামের কথা। তাই আজকে সেই পুরনো দিনের কিছু কথা , কিছু গল্প নিয়ে আমার এই লেখা। বিজয়া দশমীর দিন মা দুর্গার প্রতিমা ভাসান দেওয়ার পর থেকেই শুরু হয়ে যায় ‘শুভ বিজয়া’ জানানোর পালা । প্রণাম, কোলাকুলি, আশীর্বাদ প্রদানের মধ্য দিয়ে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করাটাই প্রথা । বাঙালীর ‘শুভবিজয়া’র সংস্কৃতির মহিমা এমনই যে সারা বছরের তিক্ততা, শত্রুতা, মনমালিন্যতাকে দূর করে দেয় সামান্য কোলাকুলি ও মিষ্টিমুখের এই রীতি। গ্রাম বাংলার সংস্কৃতিতে এটাই দেখতে পাওয়া যেত যে - মা দুর্গার প্রতিমা ভাসানের পরে দশমীর দিনই রাত্রে গ্রামের প্রত্যেকে প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে বড়দের পা ছুঁয়ে প্রনাম করতেন ও বাড়িতে আসা অতিথিদের মিষ্টি মুখ করাতেন। আসলে তখন শুভবিজয়ার উৎসব মানেই ছিল মিলন মেলা। তবে এসব কিছুই কাছে থাকা মানুষদের জন্য। দূরে থাকা প্রিয়জনদের শুভ বিজয়ার প্রীতি, শুভেচ্ছা, প্রণাম, ভালোবাসা, স্নেহ জানিয়ে চিঠি লেখা শারদ উৎসবের...

মানস ভ্রমণ – টাইম মেশিনে করে চার দশক আগে

ছবি
  বাঙালী , যার কিনা পায়ের তলায় সর্ষে , সে আজ অদৃশ্য বেড়াজালে আবদ্ধ নিজের বাড়িতে । দিনের পর দিন নিয়মের বেড়াজালে থেকে কখন যে বসন্তের পলাশ ফুল ঝরে গিয়ে শরতের কাশবনে দোলা লাগল আমরা টেরই পেলাম না । বাইরে কোথাও বেড়াতে যাওয়া তো স্বপ্ন , নিজের বাড়ির সামনের পার্কটাতে যেতে গেলেও হাজারো নিয়ম । তাই ভ্রমণপ্রিয় মানুষের কাছে মানস ভ্রমণ ছাড়া আর কোন উপায় নেই । স্মৃতি সবসময়ই সুখের । তাই জঙ্গলের বুনো গন্ধ , পাহাড়ের শীতলতা , সমুদ্রের নোনা আদ্রতা , অতিথিশালার উষ্ণ অভ্যর্থনা ,   হেরিটেজ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে আকাশছোঁয়া গর্ববোধ করা থেকে আমরা বঞিত হলেও মানস ভ্রমণের   আনন্দ থেকে কেউ সরিয়ে রাখতে পারবে না । প্রিয়জনদের সাথে ঘোরাঘুরির ছবিদেখে , স্মৃতি রোমন্থন করে , দুধের স্বাদ কিছুটা হলেও ঘোল দিয়ে মেটাতে পারি । তাই আজকে স্মৃতির পাতা দিয়ে গাঁথা বইটার মলাট থেকে সময়ের ধুলো সরিয়ে পৌঁছে গেলাম প্রায় চল্লিশ বছর আগে ।                  ...